ইরানের সাম্প্রতিক হামলার ফলে ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটেছে। ইসরায়েল ইলেকট্রিক কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, হামলার কারণে একাধিক স্থানে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে গেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ দল তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে। তারা বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করছে—ছিঁড়ে যাওয়া তার থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে কিনা।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দ্রুত মেরামতের কাজও শুরু হয়েছে। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতায় কাজ করছে।
এদিকে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ঘনীভূত হওয়ায় বিশ্ববাজারে আবারও তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। রবিবার থেকেই অপরিশোধিত তেলের মূল্য সামান্য করে বাড়তে থাকে। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ১.২ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৭৩ ডলার ৮৫ সেন্টে পৌঁছায়। ব্রেন্ট ক্রুডও ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫ ডলারে দাঁড়ায়। দিনভর এই মূল্য আরও কিছুটা ওঠানামা করলেও সামগ্রিকভাবে উর্ধ্বমুখী প্রবণতাই লক্ষ করা গেছে।
আরও পড়ুন
সংঘাতের মাত্রা আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সোমবার সকালে, যখন ইসরায়েলের উপকূলবর্তী শহর হাইফায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হামলায় শহরের আশপাশের স্থাপনা ও একটি অপরিশোধিত তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং আকাশে ঘন কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বাড়ছে—ইরান ও ইসরায়েলের এ সংঘাতে লেবাননও সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যদি এই উত্তেজনা আরও বিস্তৃত হয়, তবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি বাজার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর এর বড় প্রভাব পড়তে পারে।