মধ্যপ্রাচ্যে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উত্তেজনা কেবল ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিরোধ সংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে সংঘাতকে আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করছে।
ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক মিলিশিয়ারা এ পরিকল্পনার অংশ হতে যাচ্ছে। এতে করে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাদের অপ্রয়োজনীয় কূটনৈতিক ও সামরিক কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। ইসরায়েলের ব্যবহৃত বেশির ভাগ অস্ত্র ও যুদ্ধবিমানই মার্কিন প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল, যা সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ সম্পৃক্ততাকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন
বিশিষ্ট মার্কিন নিরাপত্তা বিশ্লেষক রিচার্ড লে’বেরন সতর্ক করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও এই সংঘাত এড়িয়ে যেতে নাও পারে।” গোয়েন্দা তথ্য বলছে, পার্শ্ববর্তী দেশের প্রতিরোধ বাহিনী আগামী দফার হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ইতিমধ্যে ইরান পাল্টা হামলায় ‘উচ্চ সফলতা’ দাবি করেছে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি, গুপ্তচর ঘাঁটি ও অস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। স্যাটেলাইট চিত্র ও গোয়েন্দা তথ্যেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ধ্বংসের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে অধিকাংশ হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।
এ হামলার সময় ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এক বার্তায় বলেন, “ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বাহিনী শয়তানের শত্রুকে এক বড় ধাক্কা দেবে।” তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলকে ‘অসহায়’ করে তুলবে। যদিও পশ্চিমা শক্তিগুলো—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং ন্যাটো—ইসরায়েলকে সহায়তা করতে চেষ্টা করেছে, তবুও হামলা প্রতিরোধে পুরোপুরি সফল হয়নি।