পবিত্র হজ উপলক্ষে মসজিদুল হারামে প্রধান খুতবা প্রদান করেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও ইমাম শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ। খুতবায় তিনি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐক্য ও সংহতির ওপর জোর দেন এবং ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের জন্য অত্যন্ত আবেগময় দোয়া করেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) “ইনসাইড দ্য হারামাইন” নামক একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, খুতবায় শায়খ হুমাইদ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি পূর্ব-পশ্চিমের সব মুসলমানদের সংশোধন করে দাও, তাদের হৃদয়ে ভালোবাসা ও সংহতি সৃষ্টি করো। হে প্রভু! তুমি ফিলিস্তিনের নির্যাতিত ভাইবোনদের রক্ষা করো, ক্ষুধার্তদের আহার দাও এবং গৃহহীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করো।’
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, ‘হে আল্লাহ! ফিলিস্তিনিদের শত্রুদের হাত থেকে তাদের হেফাজত করো এবং নিরাপত্তা দাও।’ খুতবায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি গভীর সহানুভূতি ও সংহতির বার্তা তুলে ধরেন তিনি।
খুতবায় মুসলমানদের প্রতি তাকওয়া অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে শায়খ বলেন, ‘আল্লাহভীরুতা বা তাকওয়া একজন ঈমানদারের প্রধান গুণ। শয়তান মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু। তাই মুসলমানদের উচিত একে অপরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য বজায় রাখা।’
তিনি ইসলাম ধর্মের মূল স্তম্ভগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘ইসলামে ইমান, ইসলাম ও ইহসান—এই তিনটি স্তর রয়েছে, যার মধ্যে ইহসান সর্বোচ্চ। ইসলাম শুধু ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার, নম্রতা, প্রতিশ্রুতি পালন এবং লজ্জাবোধ—এসবও ইমানের অঙ্গ।’
ড. হুমাইদ বলেন, হজের সময় আল্লাহর জিকির, দোয়া এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করা উচিত। তিনি কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘তোমরা ভালো কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করো, আর মন্দ কাজ ও পাপ থেকে বিরত থাকো।’ তাঁর এই খুতবা মুসলিম বিশ্বে একতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।