সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল-খাইমায় স্বামী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক নারী সন্তানদের ক্ষমার ফলে মুক্তি পেয়েছেন। ওই নারী তার পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে হত্যা করেন। যদিও অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ও তার সঙ্গীদের মৃত্যুদণ্ড দেন, শেষ পর্যন্ত সন্তানেরা তাদের মাকে ক্ষমা করে মৃত্যুদণ্ড থেকে রক্ষা করেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আর.এ. নামের ওই নারী ও তার প্রেমিক—উভয়েই আমিরাতের নাগরিক—২০১৫ সালে হত্যাকাণ্ডটি ঘটান। তারা একত্রে নারীর ৫৪ বছর বয়সী স্বামীকে হত্যার পর মরদেহ একটি উপত্যকায় ফেলে দেন। এ কাজে সহায়তা করে তাদের গাড়িচালক, যিনি পাকিস্তানি নাগরিক। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
ঘটনার তদন্তে জানা যায়, নারীর সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ার পর তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যার পথ বেছে নেন। শুরুতে স্বামীর শরীরে অতিরিক্ত ইনসুলিন প্রয়োগ করা হয়, পরে চেতনানাশক দেওয়া হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক মৃত্যু না হওয়ায় প্রেমিক স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর ১০ হাজার দিরহামের বিনিময়ে গাড়িচালককে লোভ দেখিয়ে মরদেহ উপত্যকায় ফেলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
পরে এক মেষপালকের মাধ্যমে মরদেহ উদ্ধার হয় এবং পুলিশ তদন্তে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে। হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালত সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করে। তবে দেশটির আইন অনুযায়ী, রক্তের সম্পর্কের কেউ যদি অপরাধীকে ক্ষমা করে, তবে তার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত বা বাতিল হতে পারে।
এ সুযোগে নিহত ব্যক্তির সন্তানরা আদালতে তাদের মাকে ক্ষমা করে দেন, যার ফলে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। তবে অপর অভিযুক্ত প্রেমিক ও গাড়িচালকের মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে এবং যেকোনো সময় তাদের সাজা কার্যকর হতে পারে।