গাজা উপত্যকার উত্তরের একমাত্র কিডনি ডায়ালিসিস কেন্দ্র ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এর ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শতাধিক গুরুতর অসুস্থ রোগী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইসরায়েল একে একে ফিলিস্তিনিদের মৌলিক জীবনধারার সুযোগ-সুবিধা ধ্বংস করে দিচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ড. মুনির আল-বুরশ জানিয়েছেন, নওরা আল-কাবি ডায়ালিসিস হাসপাতালকে ইসরায়েলি বাহিনী বারবার লক্ষ্যবস্তু করেছে। সর্বশেষ হামলায় কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়, যা কয়েক সপ্তাহ আগে পূর্ববর্তী এক হামলার পর পুনরায় চালু করা হয়েছিল। তিনি হামলার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যাতে ইসরায়েলি বুলডোজারের উপস্থিতিও দেখা যায়।
মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কিডনি রোগে আক্রান্ত অন্তত ৪১ শতাংশ রোগী যুদ্ধ চলাকালীন চিকিৎসা না পাওয়ায় মারা গেছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত এই কেন্দ্রটিতে প্রতিনিয়ত ১৬০ জনেরও বেশি রোগী ডায়ালিসিস সেবা গ্রহণ করতেন। হামলার ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন
بعد أن تم ترميمه وإعادة افتتاحه قبل أسابيع لخدمة مرضى الغسيل الكلوي، حيث إنه المركز الوحيد لغسيل الكلى في مدينة غزة ومحافظة الشمال، والذي كان يخدم أكثر من 160 مريضًا بالفشل الكلوي في شمال القطاع، ورغم أنه كان يعمل وسط صعوبات نقص الوقود واللوازم الطبية، قام الاحتلال الإسرائيلي… pic.twitter.com/Aa1m3zxhC4
— Dr.Muneer Alboursh د.منيرالبرش (@Dr_Muneer1) June 1, 2025
ড. আল-বুরশ আরও বলেন, এই ধ্বংসযজ্ঞ গাজার চিকিৎসা অবকাঠামোকে পরিকল্পিতভাবে ভেঙে ফেলার অংশ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী আইডিএফ ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে। এ দফায় আড়াই মাসে নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৮২২ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১১ হাজার।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৫৪ হাজার ৪১৮ জন মানুষ, যা মানবিক সংকটকে আরও গভীরতর করে তুলছে।