আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পশুর বাজারে কুরবানির পশুর দাম রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দুবাইয়ের বিভিন্ন হাটে গরু-ছাগলের দাম গত বছরের তুলনায় ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে একটি বড় ষাঁড়ের দাম শুরু হচ্ছে ১২ হাজার দিরহাম থেকে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান। এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসী ও মধ্যবিত্ত মুসলমানদের জন্য কুরবানি দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
দুবাই প্রবাসী ভারতীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজম জানান, গত বছর তিনি ৬ হাজার দিরহামে একটি সোমালি ষাঁড় কিনেছিলেন, কিন্তু এবার একই ধরনের পশুর দাম ১০ হাজার দিরহাম থেকে শুরু হচ্ছে। পাকিস্তানি প্রবাসী আবদুল শুকুর জানান, মাত্র দুই বছর আগেও তিনি যে আকারের ছাগল ১,৬০০ দিরহামে কিনেছিলেন, এবার তার দাম ২,৮০০ দিরহামে গিয়ে ঠেকেছে।
দুবাইয়ের আল-কুসাইস পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ১৫ কেজি ওজনের সোমালি ছাগলের দাম শুরু হয়েছে ১,২০০ দিরহাম (প্রায় ৪০ হাজার টাকা) থেকে, ভারতীয় ছাগল ২,৮০০ দিরহামের বেশি, এবং পাকিস্তানি ছাগল ২,৫০০ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে। গরুর দাম ৯,০০০ থেকে ১২,০০০ দিরহামের মধ্যে।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানি পশু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ উসমান জানান, খাদ্য, পরিবহন ও শুল্কসহ বিভিন্ন খাতে খরচ বাড়ায় তাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। অন্য এক বিক্রেতা লালা খান জানান, আগে যে ছাগল ৫০০-৭০০ দিরহামে বিক্রি হতো, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ দিরহামে। ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বিক্রেতারা বলছেন, তাদেরও ন্যায্য লাভ রাখতে হচ্ছে।
বিক্রেতাদের ধারণা, ঈদের তারিখ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই চাহিদা বাড়ছে এবং একইসাথে বাড়তে পারে পশুর দামও। ফলে আগাম বুকিং দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে প্রবাসী ও সাধারণ মুসলমানদের কুরবানির ব্যয় মেটানো বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।