কুয়েত সরকারের নীতিমালায় ‘ফ্রি ভিসা’ নামে কোনো বৈধ ভিসা ব্যবস্থা না থাকলেও, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কর্মপ্রত্যাশীদের এ ধরনের ভিসার প্রলোভনে প্রতিনিয়ত প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। একটি অসাধু চক্র মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ভিসা বিক্রি করে বৈধতার আশ্বাস দিলেও, বাস্তবে এসব ভিসা বৈধ নয় এবং এর ফলে প্রবাসীদের পড়তে হচ্ছে ভয়াবহ সংকটে।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন সম্প্রতি দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং পেশাজীবীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে এই ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ভুয়া ভিসার মাধ্যমে প্রতারণা রোধে প্রবাসী সমাজকে আরও সচেতন হতে হবে এবং এই চক্রকে প্রতিহত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
প্রবাসীদের সতর্ক করে রাষ্ট্রদূত জানান, ফ্রি ভিসার নামে প্রতারণা শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, প্রবাসীদের ভবিষ্যতকেও অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। অনেকেই এসব ভিসা নিয়ে কুয়েতে গিয়ে বৈধভাবে কাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েন। আবার কেউ কেউ কুয়েতি শ্রম আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অন্যত্র কাজ করতে গিয়ে গ্রেফতার ও বিতাড়নের মুখে পড়ছেন।
আরও পড়ুন
প্রসঙ্গত, কুয়েতের শ্রম আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত স্পন্সর ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইন অমান্য করলে দণ্ড হিসেবে জরিমানা বা দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। এ কারণে কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হন, সেই জন্য প্রবাসীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাষ্ট্রদূত তারেক হোসেন আরও জানান, কুয়েতের আইন অনুযায়ী ভিসা প্রদান প্রক্রিয়ায় কোনো আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। তারপরও যারা চক্রটির ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তাদের পাশে দাঁড়াতে ও অভিযোগ জানাতে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।