দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকার একটি মানবিক নিরাপদ জোনে অবস্থিত অস্থায়ী তাঁবু শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে। বিমান হামলায় পুলিশপ্রধান মাহমুদ সালাহ কমপক্ষে ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ভোরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরার। যেখানে হামলা হয়েছে ওই অঞ্চলটিকে গাজা যুদ্ধের শুরুর দিকে একটি নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। অসহায় ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেয় তারা। এখান সেই অঞ্চলে হামলা করছে ইসরায়েল। আজকের নিহতদের মধ্যে তিন শিশু ও দুজন নারীও রয়েছে বলে জানা গেছে।
হামলার পরের একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত তাঁবুগুলো জ্বলছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ ও কাপড় শুকানোর জন্য টাঙানো তারগুলোর মাঝখানে লোকজন জীবিতদের খুঁজছে।
আরও পড়ুন
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই হামলায় আরো ১৫ জন আহত হয়েছেন। যদিও তাদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
হামাস পরিচালিত আল-আকসা টিভি জানিয়েছে, বিমান হামলায় গাজার পুলিশপ্রধান মাহমুদ সালাহ এবং তার সহযোগী হুসাম শাহওয়ান নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই মানবিক এলাকায় তাদের সর্বশেষ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এই এলাকায় যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও কামানের মাধ্যমে বারবার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে গত ২২ ডিসেম্বর ২২ আটজন নিহত হয়।
এর কয়েকদিন আগে দক্ষিণের রাফা শহর থেকে ইসরায়েলি ট্যাংক অগ্রসর হওয়ার ফলে আল-মাওয়াসি এলাকার বহু পরিবার উত্তর দিকে পালিয়ে যায়। আসন্ন হামলার ভয়ে তারা এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।
এ ছাড়া নতুন বছরের প্রথম দিনে গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়। যাদের মধ্যে চারটি শিশু ও একজন নারী ছিলেন। ধ্বংস হওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।