ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র অস্ট্রেলিয়া, তবে গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গাজা উপত্যকায় চলমান সহিংসতা ও গণহত্যার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের যে ধারা জোরদার হয়েছে, তাতে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি, ইসরায়েলের দুই সেনাকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার ঘটনা এই উত্তেজনার নতুন নজির। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট জানিয়েছে, ওমের বার্গার এবং এল্লা বার্গার নামে দুই সেনাকে ভিসার জন্য অতিরিক্ত তথ্য দিতে বাধ্য করা হয়। যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধে তাদের সম্পৃক্ততার প্রশ্নে ১৩ পৃষ্ঠার একটি ফরম পূরণের পরও তাদের ভিসা অনুমোদন হয়নি।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা চলছে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পুরো অঞ্চলজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ ছড়িয়ে পড়েছে; লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন। এর মধ্যেও ইসরায়েলি সামরিক অভিযান থেমে নেই। প্রতিদিন নতুন হামলার খবর আসছে।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, ভিসা প্রক্রিয়ার নিয়মিত অংশ হিসেবেই ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে। তবে, বিশেষ এই পদক্ষেপ ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের প্রতি দেশটির কঠোর মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সহজেই ভিসা পেলেও এই দুই সেনার ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
ইসরায়েলি সেনা এল্লা বার্গার ইতোমধ্যে ইসরায়েলে ফিরে গেছেন। তবে ওমের বার্গার এখনো থাইল্যান্ডে অপেক্ষা করছেন, অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়ার আশায়।
অস্ট্রেলিয়ার এমন সিদ্ধান্ত ইঙ্গিত দেয় যে, গাজা যুদ্ধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর আন্তর্জাতিক প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। ইসরায়েলি সেনাদের যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।