নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী সরকারি দক্ষতা (ডিপার্টমেন্ট অব গভমেন্ট ইফিশিয়েন্সি) নামে নতুন এক বিভাগে ধনকুবের ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামীকে দায়িত্ব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামীকে নিয়োগের ব্যাপারে ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই দুই বিস্ময়কর আমেরিকান একসাথে আমার প্রশাসনের জন্য সরকারি আমলাতন্ত্রকে ভেঙে ফেলা, অতিরিক্ত বিধি-বিধান কমানো, অযথা ব্যয় কমানো এবং ফেডারেল সংস্থাগুলির পুনর্গঠন করার পথ প্রশস্ত করবে, যা ‘আমেরিকা বাঁচাও’ আন্দোলনের জন্য অপরিহার্য।
ট্রাম্পের জানিয়েছেন, ‘সরকারি দক্ষতা’ বিভাগটি সংক্ষেপে ‘ডিওজিই’ নামে পরিচিত হবে। এটি ‘ডজ কয়েন’ নামের একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে নেয়া হয়েছে; মাস্ক যাকে এক সময় ‘জনগণের ক্রিপ্টো’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন
প্রযুক্তি বিলিয়নেয়ার এবং ট্রাম্প সমর্থক ইলন মাস্ক নতুন প্রশাসনে কী ভূমিকা পালন করতে পারেন তা তীব্র জল্পনা ও প্রত্যাশার বিষয়।
সরকারি দক্ষতা বিভাগ ঠিক কী কী কাজ করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু, এটিকে সরকারের গতানুগতিক কাঠামোর বাইরের একটি প্রতিষ্ঠান বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারের বাইরে থেকে পরামর্শ এবং নির্দেশনা দেবে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি।
তিনি বলেন, এর লক্ষ্য, সরকারের মধ্যে ‘উদ্যোক্তার দৃষ্টিভঙ্গি’ নিয়ে আসা। এটা হবে আমাদের সময়ের ‘দ্য মানহাটন প্রজেক্ট’।
ম্যানহাটন প্রজেক্টের মাধ্যমে আমেরিকার প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরি করা হয়েছিল। নতুন দফতরের প্রসঙ্গে সেই ঘটনার উল্লেখ করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
২০২৬ সালের ৪ জুলাই নাগাদ এ দফতরের কাজ সমাপ্ত করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন তিনি। ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মাস্ক ও রামাস্বামী।
সামাজিক মাধ্যম এক্সের এক পোস্ট ইলন মাস্ক বলেন, ‘এটা সিস্টেমের মধ্যে একটা শকওয়েভ হিসেবে আবির্ভূত হবে। সেইসঙ্গে সরকারি অপচয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কারো জন্যই কাল হয়ে দাঁড়াবে।’
অপরদিকে রামাস্বামী তার এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেছেন, ‘আমরা কোনো ভদ্রতা দেখাতে যাব না।
গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিনি।
অন্যদিকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামাস্বামী প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা, অধিকারকর্মী ও বিনিয়োগকারী। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। পরে প্রাথমিক বাছাইয়ে হেরে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ান বিবেক।