নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রতিদিন একজন ভোটারকে ১০ লাখ ডলার ‘পুরস্কার’ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইলন মাস্ক। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা জোরদারে এমন ঘোষণা দিলেন মার্কিন এই ধনকুবের।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ অক্টোবর) পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রচারণা সমাবেশে এক ভোটারের হাতে এই ‘পুরস্কার’ তুলে দেন ইলন মাস্ক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রচারণায় ব্যস্ত ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবির। জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের সমর্থকরাও। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ট্রাম্পকে সমর্থন দেয়া মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। এবার তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোয় প্রতিদিন একজন ভোটারকে ১০ লাখ ডলার করে পুরস্কারের।
আরও পড়ুন
মাস্ক তার ‘আমেরিকা প্যাক’ কর্মসূচি বা ট্রাম্প-সমর্থক রাজনৈতিক কার্যক্রম কমিটির মাধ্যমে প্রতিদিন এই অর্থ দেবেন বলে জানিয়েছেন। এই কর্মসূচিতে নিরাপদ সীমান্ত ও শহর, বৈষম্যহীন বিচার ব্যবস্থা, বাকস্বাধীনতাকে সমর্থন দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এই পিটিশনে যারা সই করবেন, তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে একজনকে বাছাই করে এই অর্থ পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে।
শনিবার পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রচারণা সমাবেশে এক ভোটারের হাতে চেক তুলে দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরদিনও চেক তুলে দেন আরেকজনকে।
এ সময় ইলন মাস্ক বলেন,
নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন আমরা ১০ লাখ ডলার পুরস্কার দেবো। আপনাদের কেবল একটি পিটিশনে সই করে সংবিধানকে সমর্থন জানাতে হবে। এটা খুবই সহজ বিষয়। আপনাকে ভোট দিতে হবে না। আপনি সংবিধানে বিশ্বাস করেন এটা মেনে পিটিশনে সই করতে হবে।
পিটিশনে যে কেবল রিপাবলিকানরাই সই করবেন তা নয়, দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর যেকোনো নিবন্ধিত ডেমোক্র্যাট ভোটারও এতে সই করতে পারবেন। ইলন মাস্কের এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে এরইমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ প্রচারণাকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর জস শাপিরো।এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁ ম্যাকডোনাল্ডসে গিয়ে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজেন তিনি। সেখানে গিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে। মূলত, কলেজে পড়ার সময় ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করতেন কমলা। এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, এদিন ম্যাকডোনাল্ডসে কমলার চেয়ে তিনি ১৫ মিনিট বেশি কাজ করেছেন।