দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ছায়া এখনও জাপানের মাটিতে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। সম্প্রতি, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মিয়াজাকি বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া একটি বিস্ফোরণ এই তথ্যেরই একটি জ্বলন্ত প্রমাণ।
গত বুধবার, কিউশু দ্বীপে অবস্থিত এই বিমানবন্দরের রানওয়েতে মাটির নিচ থেকে হঠাৎ করে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, রানওয়েতে একটি বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অন্তত ৮৭টি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য করা হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে যে, বিস্ফোরিত বোমাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন। ধারণা করা হয়, যুদ্ধের সময় মার্কিন বাহিনী এই বোমাটি এলাকায় ফেলে রেখে গিয়েছিল। মাটির নিচে দীর্ঘদিন ধরে পুঁতে থাকার ফলেই বোমাটি হঠাৎ করে বিস্ফোরিত হয়।
মিয়াজাকি বিমানবন্দর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি ‘কামিকাজে’ পাইলটদের একটি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই আত্মঘাতী পাইলটরা বিমান নিয়ে শত্রু জাহাজে আঘাত হানার মিশনে যেত। বিমানবন্দরের এই অন্ধকার অতীতই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাকে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
আরও পড়ুন
জাপান সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি জানিয়েছেন, মেরামত কাজ শেষ হলে বৃহস্পতিবার সকালে রানওয়েটি আবার চালু করা হবে।
তবে, এই ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয় যে, যুদ্ধের ক্ষত সহজে মুছে যায় না। বিশেষ করে, যখন বিশ্বের অনেক দেশের মাটিতে এখনও অসংখ্য অবিস্ফোরিত বোমা পুঁতে রয়েছে।