ইরান নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ অক্ষ ইসরাইলকে ঘিরে ফেলেছে এবং ইহুদি রাষ্ট্রটি এ প্রতিরোধ শক্তির দ্বারা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
রোববার ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা সামা নিউজ এজেন্সির বরাতে ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার স্থানীয় এক বৈঠকে বক্তৃতা দেওয়ার সময় নেতানিয়াহু উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অধিকৃত অঞ্চলে একটি গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় তিনি ‘হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় চলমান যুদ্ধকে ব্যবহার করে ইসরাইলের ভেতরে গৃহযুদ্ধ উস্কে দিতে চাইছে’ বলেও অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন
এছাড়া নেতানিয়াহু তার সরকারের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের কথাও জানান। যা গাজায় হামলা বন্ধ করার জন্য এবং অস্ত্রবিরতির দাবিতে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
এক্ষেত্রে তিনি তেলআবিবে তার বাসভবনের সামনে লাখো মানুষের বিক্ষোভের উল্লেখ করেছেন। যারা গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর না করায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির দাবি তুলেছে।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ব্যানার, ইসরাইলি পতাকা এবং হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের ছবি হাতে নিয়ে নেতানিয়াহুর বাসভবনের চারপাশে জড়ো হয়। তাদের দাবি, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সঙ্গে বন্দি বিনিময় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ বিক্ষোভ ইসরাইলে চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনার প্রতিফলন। যেখানে সরকারবিরোধী আন্দোলন দিন দিন বেড়েই চলছে। বিক্ষোভকারীদের মতে, গাজায় চলমান সংঘর্ষে মানবিক বিপর্যয় বাড়ছে এবং বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সংঘর্ষের অবসান ঘটানো প্রয়োজন।
এ নিয়ে নেতানিয়াহু বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে জোর দিয়ে বলেন যে, ইসরাইলকে এ বিপর্যয় মোকাবিলা করতে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ইতোমধ্যে ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৯০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯৪ হাজার ৭শ জন আহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
যদিও নেতানিয়াহু এর আগে হামাসকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং গাজায় আগ্রাসন অব্যাহত রাখেন। তারপরও তিনি এখনও সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারেননি।
এছাড়া গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্ত করতেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তবুও তিনি দাবি করেন যে, গাজার হুমকি দূর করার মাধ্যমেই ইসরাইলিরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবে।