মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ও যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পছন্দ করেন, তবে ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকায় তিনি হতাশ। ট্রাম্পের এই বক্তব্য ঘিরে রাশিয়া, ইউক্রেন এবং পশ্চিমা বিশ্বে শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা।
ট্রাম্প বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক আলোচনার পর মেলানিয়া মন্তব্য করেছিলেন, “খুব দুঃখজনক যে তারা কিয়েভে বোমা হামলা চালিয়েছে।” তিনি আরও জানান, মেলানিয়া পুতিনের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছেন এবং মূলত যুদ্ধ বন্ধে তাঁর আগ্রহ গভীর। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, ট্রাম্পের নীতিগত অবস্থানে মেলানিয়ার নিরব ভূমিকা থাকতে পারে।
ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প জন্মগ্রহণ করেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ স্লোভেনিয়ায়। বর্তমানে তিনি ইউক্রেনের একজন দৃঢ় সমর্থক হিসেবে পরিচিত। সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, তার অতীতের পটভূমি ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিই ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তার অবস্থান গড়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন
মার্কিন কংগ্রেসম্যান ডন বেকন বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের অবস্থান পরিবর্তনের পেছনে মেলানিয়ার ভূমিকা থাকতে পারে। তিনি বলেন, “মেলানিয়া যদি এ বিষয়ে নীরবে প্রভাব বিস্তার করে থাকেন, তাহলে আমি অবাক হব না।”
উল্লেখ্য, ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়া ও পুতিনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আসছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে অগ্রগতির অভাব দেখে তিনি ক্রমশ হতাশ প্রকাশ করছেন। এমনকি মঙ্গলবার তিনি মস্কো ও কিয়েভকে শান্তি চুক্তির জন্য ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। সময়সীমার মধ্যে সমঝোতা না হলে রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যা রুশ কর্মকর্তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন।