সম্প্রতি এক গুজবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ও তার স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রো। ডানপন্থী মার্কিন অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সার ক্যান্ডেস ওন্সের বিরুদ্ধে তারা এ মামলা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, ক্যান্ডেস উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে তাদের সম্মানহানি করেছেন।
গুজবটি দাবি করে, ব্রিজিত ম্যাক্রো আসলে জন্মেছিলেন পুরুষ হিসেবে এবং পরবর্তীতে লিঙ্গ পরিবর্তনের মাধ্যমে নারীতে রূপান্তরিত হন। এই দাবির প্রেক্ষিতে ক্যান্ডেস একটি অডিও সিরিজও প্রকাশ করেছেন, যার শিরোনাম ‘Becoming Brigitte’। এতে ব্রিজিতের পরিচয়, বৈবাহিক সম্পর্ক ও অতীত নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে।
ম্যাক্রো দম্পতির ভাষ্যমতে, বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও ক্যান্ডেস ও তার টিম এসব কনটেন্ট সরিয়ে নেয়নি। বরং ক্যান্ডেস দাবি করেছেন, তিনি মামলা সম্পর্কে কিছু জানেন না এবং তার মুখপাত্র এটিকে ‘বাকস্বাধীনতা দমন করার প্রচেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন
এই মামলাটি শুধু একটি ব্যক্তিগত মানহানির বিষয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একটি নজিরবিহীন আইনি লড়াই হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, মানহানির মামলায় জয় পেতে হলে প্রমাণ করতে হয় যে বিবাদী ইচ্ছাকৃতভাবে বা যাচাই ছাড়া মিথ্যা প্রচার করেছেন—এই কঠিন মানদণ্ডেই লড়ছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট দম্পতি।
উল্লেখ্য, এই গুজব প্রথম ছড়ায় ২০২১ সালে এবং পরে ডানপন্থী বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আলোচিত হয়। যদিও ফ্রান্সে একই ধরনের গুজব ছড়ানোয় পূর্বে দুটি মামলা হলেও আপিল আদালতে তা বাতিল হয়েছিল। এবার যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে এই লড়াইয়ের মাধ্যমে ‘সত্য প্রতিষ্ঠা’ই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ব্রিজিত ম্যাক্রো।