তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোগামী একটি যাত্রীবাহী বিমানে মাঝ আকাশে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বিমানের গন্তব্য পরিবর্তন করে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জরুরি অবতরণ করা হয়। তবে রহস্যজনকভাবে মৃত ব্যক্তির মরদেহের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৩ জুলাই টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটটি গ্রিনল্যান্ডের আকাশসীমায় থাকাকালে এক যাত্রী হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে বিমানটি আইসল্যান্ডে অবতরণের চিন্তা করলেও, পরে যাত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় বিমানটি মার্কিন আকাশসীমায় ঢুকে শিকাগোর ও’হারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
ফ্লাইটটি শিকাগোতে অবতরণের পর অন্যান্য যাত্রীদের গন্তব্যে পাঠিয়ে দেওয়া হলেও মৃত যাত্রীর মরদেহ কোথায় গেছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। নিয়ম অনুযায়ী, মরদেহটি কুক কাউন্টির মেডিকেল পরীক্ষকের দপ্তরে নেওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছে, তাদের কাছে এমন কোনো মরদেহের রেকর্ড নেই।
আরও পড়ুন
টার্কিশ এয়ারলাইন্সের সানফ্রান্সিসকো স্টেশন ম্যানেজার নিশ্চিত করেছেন, ফ্লাইটটি নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায় এবং যাত্রীরা সানফ্রান্সিসকোতে পৌঁছে গেছেন। তবে মৃত যাত্রীর পরিচয় কিংবা মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও প্রকাশ করেনি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। পুরো ঘটনাটিকে ‘মেডিকেল ইমারজেন্সি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
ঘটনার পর কুক কাউন্টির মেডিকেল পরীক্ষকের দপ্তরের মুখপাত্র নাতালিয়া দেরেভানি বলেন, তাদের অফিসে এমন কোনো মরদেহ পৌঁছায়নি। ফলে কোথায় গেল ওই যাত্রীর মরদেহ—সে প্রশ্ন এখন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।