আসন্ন সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স—এমন ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেওয়া এই ঘোষণায় তিনি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির প্রতি আমাদের ঐতিহাসিক অঙ্গীকার বজায় রাখতে ফ্রান্স এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
ফ্রান্সের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, “এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপটি ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমান্তে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকে পুনরায় নিশ্চিত করে।”
সৌদি বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান জানানো এবং জাতিসংঘ রেজুলেশনগুলো কার্যকর করার জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৪২টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন
এই গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এলো, যখন গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলের তৈরি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হওয়া অসহায় বেসামরিক মানুষদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। শুধু গত ছয় সপ্তাহেই এমন ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৭৫ জন। গাজায় ইসরায়েলি হামলাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা চলছে।
ফ্রান্সের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিকভাবে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে—যেখানে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পথকে আরও বিস্তৃত করা হচ্ছে।