দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতে উদ্বেগ জানিয়েছে চীন এবং বর্তমানে আসিয়ানের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মালয়েশিয়া। তারা উভয় পক্ষকে কূটনৈতিক উপায়ে বিরোধ মেটানোর আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকু বলেন, “সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা আশা করছি, উভয় দেশ শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসবে। প্রয়োজনে চীন গঠনমূলক মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন
একই দিনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আসিয়ান ইতোমধ্যে দুই সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, “আমি আজ সকালে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা পাঠিয়েছি। চাইছি তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে, যাতে তারা সংঘাত থেকে সরে এসে আলোচনায় বসে।”
প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে পান্না ত্রিভুজ নামে পরিচিত একটি সীমান্ত অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ববহ এ অঞ্চলে দুই দেশই নিজেদের মালিকানা দাবি করে আসছে। প্রায় দেড় দশক আগে যুদ্ধবিরতিতে গেলেও সম্প্রতি উত্তেজনা আবার চরমে পৌঁছেছে।
সংঘাতের সূত্রপাত হয় গত মে মাসে, যখন কম্বোডিয়ার এক সেনা থাই সীমান্তে নিহত হন। এরপর বুধবার এক থাই সেনা ল্যান্ড মাইনের বিস্ফোরণে আহত হন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার সেনা ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। এর জবাবে কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী থাইল্যান্ডের বান নাম ইয়েন এলাকায় রকেট হামলা চালায়, যাতে অন্তত ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।