উচ্চশিক্ষা এবং উন্নত ক্যারিয়ারের আশায় অনেকেই বিদেশে পড়াশোনার পরিকল্পনা করেন। তবে, এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় জটিল এবং সময়সাপেক্ষ স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া। আবেদন ফর্ম পূরণ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা, সময়সীমা মেনে চলা এবং দূতাবাসের আনুষ্ঠানিকতা অনেকের কাছেই হয় জটিল ও বিভ্রান্তিকর। তবে আশার কথা হলো—বিশ্বের কিছু দেশ শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে সহজ, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর ভিসা প্রক্রিয়া চালু করেছে।
কানাডা চালু করেছে Student Direct Stream (SDS) নামে একটি বিশেষ ভিসা প্রক্রিয়া, যা নির্দিষ্ট দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত ও অনলাইন-ভিত্তিক সুবিধা দেয়। শিক্ষাকালীন পার্টটাইম কাজের সুযোগ এবং কোর্স শেষে স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। অপরদিকে, জার্মানিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ভিসা প্রক্রিয়া বেশ সুশৃঙ্খল হয় এবং অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি না থাকায় খরচও তুলনামূলকভাবে কম পড়ে।
অস্ট্রেলিয়ায় ImmiAccount নামক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা সহজেই আবেদন করতে পারেন, নথি আপলোড করতে পারেন এবং স্ট্যাটাস ট্র্যাক করতে পারেন। নিউজিল্যান্ডও শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ এবং সহায়ক একটি দেশ হিসেবে বিবেচিত, যেখানে অনেক সময় দূতাবাসে না গিয়েই অনলাইনে ভিসা আবেদন করা সম্ভব।
আরও পড়ুন
আয়ারল্যান্ডে ফুলটাইম কোর্সে ভর্তি হলে অনলাইনে সহজেই স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করা যায় এবং কোর্স শেষে দুই বছর পর্যন্ত থাকার সুযোগ মেলে। সিঙ্গাপুর SOLAR নামের একটি আধুনিক ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। নেদারল্যান্ডসে বিশ্ববিদ্যালয় নিজেরাই শিক্ষার্থীদের হয়ে ভিসা আবেদন করে, ফলে আবেদনকারীর ঝামেলা অনেকটাই কমে যায়।
নরওয়ের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো টিউশন ফি নেই। দেশটির সরল ও কার্যকর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা অনায়াসেই পড়াশোনার সুযোগ পেতে পারেন।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে উপরের দেশগুলো হতে পারে একটি স্বস্তির ঠিকানা। সহজ, স্বচ্ছ এবং শিক্ষাবান্ধব ভিসা প্রক্রিয়ার কারণে এসব দেশে পড়তে যাওয়া এখন অনেকটাই সহজতর হয়ে উঠেছে। যথাযথ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই নিজেদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।