যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের সহায়তায় ভুয়া অপরাধ প্রতিবেদন তৈরি ও ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে লুইজিয়ানার তিনজন বর্তমান ও সাবেক পুলিশপ্রধানসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফেডারেল কর্তৃপক্ষ। তারা অর্থের বিনিময়ে এমন ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করতেন, যার মাধ্যমে অভিবাসীরা নিজেদের ‘অপরাধের শিকার’ দাবি করে ইউ ভিসার জন্য আবেদন করতেন।
লাফায়েট শহরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএস অ্যাটর্নি আলেকজান্ডার ভ্যান হুক জানান, ওকডেল পুলিশপ্রধান চ্যাড ডয়েল, ফরেস্ট হিলের গ্লিন ডিকসন এবং গ্লেনমোরা শহরের সাবেক পুলিশপ্রধান টেবো ওনিশিয়া—এই তিনজনই নিয়মিত ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করতেন। এ ছাড়া ওকডেল সিটি মার্শাল মাইকেল স্লেনি এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী চন্দ্রকান্ত প্যাটেলকেও মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ফেডারেল অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ইউ ভিসা পেতে আগ্রহী অভিবাসীরা প্রথমে চন্দ্রকান্ত প্যাটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তিনি সংশ্লিষ্ট পুলিশপ্রধানদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে ‘সশস্ত্র ডাকাতির শিকার’ হিসেবে প্রতিবেদন তৈরি করাতেন এবং বিনিময়ে অর্থ প্রদান করতেন। প্রতিটি ভুয়া রিপোর্টের জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা প্রায় ৫ হাজার ডলার করে পেতেন, এবং শত শত ভুয়া রিপোর্ট তৈরি হয়েছে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন
ফেডারেল তদন্তে উঠে আসে, এই জালিয়াতি চক্রটি প্রায় এক দশক ধরে সক্রিয় ছিল এবং সম্প্রতি এটি বন্ধ করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আরও জানান, লুইজিয়ানার বাইরের ব্যক্তিদের ওপর ‘অস্বাভাবিক’ হারে সশস্ত্র ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল, যা আদৌ ঘটেনি।
এই অপরাধে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রতিটি অভিযোগে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ইতোমধ্যে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইউ ভিসা সিস্টেম মূলত এমন অভিবাসীদের জন্য চালু করা হয়েছিল, যারা অপরাধের শিকার হয়ে তদন্তে সহযোগিতা করছেন। তবে ভিসা ব্যবস্থার এমন অপব্যবহার গুরুতর উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ।