আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার প্রকাশিত এক রায়ে আদালত জানায়, গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে চলমান তদন্ত ও গ্রেফতারি পরোয়ানাগুলো বৈধ এবং তা বহাল থাকবে। আদালতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রায় অনুযায়ী, ইসরায়েলের করা আপিল এখনো বিচারাধীন থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত পরোয়ানাগুলোর কার্যকারিতা বজায় থাকবে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজায় চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু, গালান্ট এবং হামাসের শীর্ষ নেতা ইব্রাহিম আল-মাসরির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আইসিসি। পরে হামাস নেতা আল-মাসরির (অপর নাম মোহাম্মদ দেইফ) মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা বাতিল করা হয়।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই হেগ-ভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক আদালতের এখতিয়ার স্বীকার করে না এবং গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সহিংস হামলার জবাবে আত্মরক্ষার জন্য গাজায় সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
নেতানিয়াহু ও গালান্টের বিরুদ্ধে পরোয়ানা প্রত্যাহারের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে ইসরায়েল দাবি করেছিল, আদালতের আপিল বিভাগের নির্দেশে বিচারপূর্ব কক্ষে এখতিয়ার পুনর্বিবেচনার আদেশের ফলে পরোয়ানার ভিত্তি নাকচ হয়ে যায়। তবে আদালত এই যুক্তিকে ‘ভুল’ আখ্যা দিয়ে জানায়, এখতিয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতারি পরোয়ানাগুলো বহাল থাকবে।
আইসিসি এখতিয়ার নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা না করলেও, বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন। এর আগে চলতি বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্র চারজন আইসিসি বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যাদের মধ্যে দুজন ছিলেন ইসরায়েলের আবেদন খারিজের প্যানেলে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানার জবাবে এটাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নজিরবিহীন প্রতিক্রিয়া।