বিশ্বের অধিকাংশ বিমানবন্দর অপেক্ষমাণ যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক না হলেও দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের ইঞ্চিয়ন বিমানবন্দর এই ধারণার ব্যতিক্রম। আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সমৃদ্ধ এই বিমানবন্দর যাত্রীদের যাত্রাবিরতিকেই করে তোলে উপভোগ্য ও স্মরণীয়।
ইঞ্চিয়ন বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য রয়েছে নানা সুবিধা—বিশ্রামকক্ষ, স্পা সেন্টার, বাষ্পীয় গোসল, সিনেপ্লেক্স, স্কেটিং রিং, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কোরিয়ান ঐতিহ্যবাহী প্রদর্শনী ও জাদুঘরসহ আরও অনেক কিছু। এসব সুবিধা বিমানবন্দর চত্বরে সহজলভ্যভাবে পাওয়া যায়।
মার্কিন ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর লুসি কিউ সম্প্রতি নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন যাওয়ার পথে আট ঘণ্টার যাত্রাবিরতিতে ইঞ্চিয়নে সময় কাটান। সেই অভিজ্ঞতা তিনি তুলে ধরেন তার ইউটিউব চ্যানেলে। লুসি জানান, বিমানবন্দরের ‘প্যারাডাইস সিটি কমপ্লেক্স’ এলাকায় অবস্থিত একটি হোটেলে অবস্থানকালে তিনি স্পা সেবাও গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন
স্পা পরিষেবার জন্য তাকে একটি নির্ধারিত টিকিট কিনতে হয়। সাধারণ সময়ে এই সেবার মূল্য ৬০ হাজার কোরিয়ান ওউন (প্রায় ৫,২০০ টাকা) হলেও যাত্রী ভিড়ের সময় তা বেড়ে ৭০ হাজার ওউনে (প্রায় ৬,১৩০ টাকা) পৌঁছায়। স্পা কমপ্লেক্সে খাবার অর্ডারের ব্যবস্থাও রয়েছে, যেখানে লুসি একটি পিজ্জা অর্ডার করে খুশি হন তার মান নিয়ে।
লুসি জানান, যাত্রাবিরতির পুরো সময়টিতে তার থাকা, খাওয়া ও বিনোদন মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫০ ডলার। এমন অভিজ্ঞতা এর আগে কখনও হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। “আমি আমার জীবনের সেরা ট্রানজিট সময়টি কাটিয়েছি এখানে,”—উল্লেখ করেন লুসি।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের কাছে ইঞ্চিয়ন বিমানবন্দর শুধুমাত্র এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার মাধ্যম নয়, বরং আরামের একটি স্বতন্ত্র গন্তব্য হিসেবেও পরিচিত হয়ে উঠছে।