কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-কানেল এবং তাঁর সরকারের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় নেওয়া এই পদক্ষেপে কিউবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলভারো লোপেজ মিয়েরা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাজারো আলবার্তো আলভারেজ কাসাসকেও কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন।
মার্কো রুবিও জানান, ২০২১ সালের নির্বাচনের পর রাজধানী হাভানায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সহিংস দমন-পীড়নের মাধ্যমে কিউবা সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কিউবার জনগণের বিরুদ্ধে যারা বর্বরতার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা সীমিত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি জানায় এবং তাদের সুস্থভাবে জীবিত থাকার প্রমাণও চায়। এদিকে, কিউবা সরকার বলছে—যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক দুর্ভোগকে ইন্ধন হিসেবে ব্যবহার করে ২০২১ সালের অস্থিরতা উসকে দিয়েছিল, যার পেছনে ছিল সরকার পতনের উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন
এর আগে, ২০২৪ সালের মে মাসে কিউবার অধিকারকর্মী লুইস রোবলসকে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র কিউবার তিন বিচারক ও একজন প্রসিকিউটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। প্রায় পাঁচ বছর জেল খাটার পর রোবলস চলতি বছর মুক্তি পান।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সাল থেকেই কিউবা মার্কিন বাণিজ্য অবরোধের আওতায় রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওবামা প্রশাসনের সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের উদ্যোগ বাতিল করে কিউবাকে আবারও সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন।