রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা দেশগুলোর ওপর ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন, যা ভারতের অর্থনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি মার্কিন সিনেটে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে, যেখানে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া দেশগুলোর ওপর এই কঠোর শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রয়েছে। বিলটি সিনেটে ৮৪ জন সদস্যের সমর্থন পেয়েছে এবং আগামী আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে তা পেশ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, যারা রাশিয়ার কাছ থেকে পণ্য কিনবে এবং ইউক্রেনকে সমর্থন দেবে না, তাদের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৫০০ শতাংশ শুল্ক বসাবে। তিনি বলেন, “ভারত ও চীন রাশিয়ার ৭০ শতাংশ তেল কিনছে, যা পুতিনের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা জোগাচ্ছে।”
আরও পড়ুন
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, বিলের ভাষা প্রথমে আরও কঠোর ছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসন পরে শর্তগুলোকে কিছুটা নমনীয় করতে বলে, যাতে “হবে” শব্দের পরিবর্তে “হতে পারে” ব্যবহার করা হয়। এর ফলে প্রস্তাবিত শুল্কের বাধ্যতামূলক প্রয়োগ কিছুটা দুর্বল হতে পারে।
ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য সম্পর্ক এই সিদ্ধান্তের বড় শিকার হতে পারে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৬৮.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় বহুগুণ বেশি। ভারতের পক্ষ থেকে রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি, রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেলসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের আমদানির কারণে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বর্তমানে ভারত ও রাশিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন শুল্কনীতি বাস্তবায়িত হলে ভারতের শেয়ার বাজার ও বৈদেশিক বাণিজ্যে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করছেন।