সম্মান হারানোর আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে শিক্ষা নিতে বললেন চীন

Chinese president tells us to learn before losing respect

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিদেশনীতি ও মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপ নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। এক্স-এ (পূর্বের টুইটার) মঙ্গলবার (১৭ জুন) দেওয়া এক পোস্টে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেন, ‘সম্মান হারানোর আগেই শিক্ষা নাও।’ পাশাপাশি অতীতের পতনশীল সাম্রাজ্যের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্ব কখনো একক ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে না।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগের সতর্কতার ধারাবাহিকতায় প্রেসিডেন্ট শিও সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনায় সরব হলেন। তিনি বলেন, অতীতের বহু শক্তিধর সাম্রাজ্য যেমন পতনের মুখে পড়েছে, তেমনি আধিপত্যবাদী চিন্তা থেকে বের হতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রকেও একই পরিণতি বরণ করতে হবে।

প্রেসিডেন্ট শি তার পোস্টে লেখেন, “১০০ বছর আগে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বৈশ্বিক বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করেছিল এবং বিশ্বের বিশ শতাংশ সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করত। আবার ২০০ বছর আগে ইউরোপে ফরাসি সেনাবাহিনীর ভয় ও সংস্কৃতির প্রভাব ছিল ব্যাপক। নেপোলিয়ন নিজেকে অমর ভাবলেও শেষ রক্ষা হয়নি।” তিনি আরও যোগ করেন, “৪০০ বছর আগে স্পেনের ধনসম্পদ আর বিশাল সাম্রাজ্যও ইতিহাসের পাতায় পরিণত হয়েছে।”

তুলনামূলকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভূমিকাকে উল্লেখ করে শি বলেন, “ক্ষমতা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, প্রভাব স্থানান্তরিত হয়। বৈধতা ধারণার উপর নির্ভরশীল হলে তা মুহূর্তেই বিলীন হয়ে যেতে পারে। যারা অতীত থেকে শিক্ষা নিতে দেরি করে, তাদের পতন অনিবার্য।”

একটি পৃথক পোস্টে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় ও মানবিক ক্ষতির হিসাব তুলে ধরেন। বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে যুদ্ধ ও পুলিশের ভূমিকায় আট ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এতে অসংখ্য মার্কিন সেনা নিহত বা আহত হয়েছে, আর লাখ লাখ নিরীহ মানুষের প্রাণ গেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্তগুলোর একটি।”

চীনা প্রেসিডেন্টের এসব মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শির এই বক্তব্য শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, গোটা বিশ্বকেই একটি নতুন ভিন্নমুখী বৈশ্বিক বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করছে।

আরও দেখুন:

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Probashir city web post