‘মার্কিন অস্ত্র দিয়ে ইরানের জনগণকে হত্যা করা হয়েছে’

'iranian people have been killed with us weapons'

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত সাঈদ ইরাভানি বলেছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের জবাব দিতেই ইরান সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী সময়, স্থান ও কৌশল নির্ধারণ করবে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, ইরানের প্রতিক্রিয়া হবে আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বৈধ। তেহরানে ইসরায়েলি হামলার পর তাসনিম নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানায়।

ইরাভানি জানান, শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল একযোগে, পরিকল্পিত ও বহু শহরে। এতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি, গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ও আবাসিক এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়। হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জনের বেশি আহত হন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

তিনি অভিযোগ করেন, এ হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। ইরাভানির দাবি, ইরানি জনগণকে হত্যা করা হয়েছে মার্কিন অস্ত্র দিয়ে, যা একটি সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। তিনি আরও জানান, হামলার সময় ইসরায়েল ইরাকের সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে, যার প্রতিবাদে ইরাক জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছে।

ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ হামলা শুধু তেহরানের জন্য নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। বিশেষত পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে একটি ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটাতে পারত ইসরায়েল, যার প্রভাব আঞ্চলিকভাবে বিস্তৃত হতে পারত।

ইরাভানি নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানান, যেন তারা দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, যদি এখন পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তি ও বিশ্বশান্তি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘ইসরায়েল ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। তারা এই অপরাধের দায় এড়াতে পারে না। নিরাপত্তা পরিষদের নীরবতা মানে হবে এই অপরাধে পরোক্ষভাবে যুক্ত হওয়া।’

আরও দেখুন:

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Probashir city web post