গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযান এবং ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স। তিন দেশের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে
গত শুক্রবার ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলে নতুন অভিযান শুরু করে। এরপর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, গাজার পুরো অঞ্চল ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা শুরু হয়, বিশেষ করে মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েলের বাধার কারণে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠেছে।
সোমবার ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের মানবিক সহায়তা প্রদান না করাটা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। তারা পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধেও অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতা কিয়ের স্টারমার, কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মার্ক কার্নি এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো।
আরও পড়ুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই বিবৃতিকে কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা নেতারা ৭ অক্টোবর হামলার দায়ীদের পুরস্কৃত করতে চান এবং সন্ত্রাসকে উৎসাহ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল তার আত্মরক্ষামূলক অভিযান চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না সম্পূর্ণ বিজয় অর্জিত হয়।
একই সঙ্গে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিন দেশের নেতারা। তারা গাজায় অস্ত্রবিরতির পক্ষে অবস্থান জানান এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। হামাস এই বিবৃতিকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলি অভিযানে ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। অঞ্চলটির বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি।