উরুগুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসে মুজিকা ৮৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি ‘পেপে’ নামে পরিচিত ছিলেন।
বামপন্থিদের কাছে কিংবদন্তি ও গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত মুজিকা ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত উরুগুয়ে শাসন করেছেন। সাধারণ জীবনযাপনের জন্য তিনি বিশ্বের ‘সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
খাদ্যনালীর ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ এক বছরের লড়াইয়ের পর মে মাসে তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। উরুগুয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামান্দু ওরসি সামাজিক মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর জানান।
মুজিকার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি, তবে তিনি খাদ্যনালীর ক্যান্সারে ভুগছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সরল জীবনযাপন, ভোগবাদের সমালোচনা এবং বিভিন্ন সামাজিক সংস্কারমূলক প্রচারণা তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। তার সময়ে উরুগুয়ে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করে।
তরুণ বয়সে মুজিকা উরুগুয়ের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল পার্টির সদস্য ছিলেন। পরে তিনি গেরিলা গ্রুপ টুপামারোস ন্যাশনাল লিবারেশন মুভমেন্ট (এমএলএন-টি) প্রতিষ্ঠা করেন। কিউবার বিপ্লব ও আন্তর্জাতিক সমাজতন্ত্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধের ডাক দেন। এই সময় তিনি চারবার গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৭০ সালে প্রায় মরতে বসেছিলেন।
২০০৫ সালে তিনি উরুগুয়ের বামপন্থি জোট ফ্রেন্টে আম্পলিওর প্রথম সরকারের মন্ত্রী হন। ২০১০ সালে তিনি উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট হন।