কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে পাকিস্তান ভারতের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন রুটে ভারতীয় বিমানগুলোকে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে, সময় ও খরচ বাড়ছে এবং যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিমান ভাড়ার ওপর।
এই পরিস্থিতির মধ্যে, নতুন করে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে ভারত ইসরাইলের আকাশসীমা থেকেও সরে আসছে। গত শনিবার ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের বেনগুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে বেশ কয়েকজন আহত হন। হামলার পরপরই বিমানবন্দরটির কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, এয়ার ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে যে তারা আগামী দুই দিন ইসরাইলের আকাশসীমা ব্যবহার করে কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করবে না। এমনকি দিল্লি থেকে তেল আবিবগামী একটি ফ্লাইটকে মাঝপথে আবুধাবির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং বৈধ টিকিটধারীদের জন্য ছাড়, রিফান্ড বা রিশিডিউলের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “যদি কেউ আমাদের আঘাত করে, আমরা তার সাত গুণ বেশি শক্তিশালী জবাব দেব।” হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারী বলেন, “বেনগুরিয়ন বিমানবন্দর এখন থেকে আর নিরাপদ নয়।” হুতি বিদ্রোহীদের হামলা থামাতে ইসরাইলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে এলেও, একাধিক আন্তর্জাতিক সূত্র জানিয়েছে যে তারা হাজারও বিমান হামলা চালিয়েও বিদ্রোহীদের দমন করতে পারছে না। ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও, তারা এই হামলার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে হিমশিম খাচ্ছে।
সব মিলিয়ে, ভারত, পাকিস্তান, ইসরাইল এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে একটি অস্থিতিশীল আকাশপথ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল এবং কূটনৈতিক ভারসাম্যের ওপর প্রভাব ফেলছে।