হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর ধারাবাহিক আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান লোহিত সাগর থেকে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর প্রকাশ পেয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর মার্কিন বাহিনী এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ইয়েমেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে আল-মাসিরাহ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রুম্যান রণতরী ও তার সঙ্গে থাকা যুদ্ধজাহাজগুলো যে কোনো সময় এলাকা ত্যাগ করতে পারে। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অবস্থানের বিরুদ্ধে হুথিদের ঘনঘন আক্রমণ বড় একটি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, এক হামলা থেকে বাঁচতে গিয়ে ট্রুম্যান থেকে একটি এফ/এ-১৮ই সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান সাগরে পড়ে যাওয়ার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ।
জানা গেছে, হঠাৎ কৌশলগত পরিবর্তনের সময় হ্যাঙ্গার ডেকে থাকা বিমানটি এবং একে টানার জন্য ব্যবহৃত একটি ট্রাক পানিতে পড়ে যায়। এ ঘটনায় রণতরীর অভ্যন্তরেও ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি করছে ইয়েমেনি সূত্রগুলো। একইসঙ্গে রণতরীর উপর সরাসরি আঘাত হানার সম্ভাবনাও নাকচ করা হয়নি।
আরও পড়ুন
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, মার্কিন হামলায় বেসামরিক হতাহতের প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানে রণতরী ও এর সহযাত্রী জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এসব হামলার ফলে রণতরীটি উত্তরমুখী সরে যেতে বাধ্য হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরীর এই পিছু হটা নতুন নয়। এর আগেও ইয়েমেনি হামলার মুখে একাধিক যুদ্ধজাহাজ ওই অঞ্চল ত্যাগ করেছে। হুথিরা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ইয়েমেনে মার্কিন হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত লোহিত সাগর ও আরব সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি তারা লক্ষ্যবস্তু করে যাবে।