রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করল আদালত, ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন

রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করল আদালত, ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন

সাংবিধানিক আদালত প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করেছে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে সামরিক আইন জারি করে ইউন সুক-ইওল জনগণের অধিকার লঙ্ঘন করেছেন। এই রায়ের ফলে আগামী দুই মাসের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ইউন সুক-ইওল সামরিক আইন জারি করেন। সে সময় তিনি দাবি করেন, সরকারে ‘রাষ্ট্রবিরোধী ও উত্তর কোরিয়াপন্থী’ শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। তবে ইউন সুক-ইওলের এই দাবির পেছনে যথাযথ কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, দেশের জাতীয় পরিষদ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পাঠানো ঊর্ধ্বতন সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন তার প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিবিদদের আটক করতে এবং তার সামরিক শাসনের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য সংসদকে ভোটদান থেকে বিরত রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সামরিক আইন জারির অভিযোগে সংসদে আইনপ্রণেতাদের ভোটাভুটিতে অভিশংসিত হন ইউন সুক-ইওল। গত বছরের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই তাকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে তার অপসারণ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য সাংবিধানিক আদালতের আটজন বিচারকের মধ্যে ছয়জনের অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল।

আইনি জটিলতার কারণে এতদিন প্রেসিডেন্ট পদে থাকলেও, তার হাতে কোনো নির্বাহী ক্ষমতা ছিল না। তবে এবার সাংবিধানিক আদালত নতুন করে এই রায় দেওয়ায় চূড়ান্তভাবে অপসারণ হলেন ইউন। ফলে এখন নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে দেশটিকে।

আরও দেখুন:

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Probashir city web post