চীন সম্প্রতি দুটি নতুন জেলা প্রতিষ্ঠা করেছে, যার মধ্যে একটি ভারতের দাবি করা সেই অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত, যা চীন অবৈধভাবে দখল করেছে বলে ভারত দাবি করে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, উত্তর-পশ্চিম চীনের শিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের হোটান প্রশাসনিক এলাকায় হে’আন এবং হেকাং নামে দুটি নতুন জেলা গঠিত হয়েছে। হে’আন জেলা প্রায় ৩৮,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা অন্তর্ভুক্ত করে, যা ভারত তাদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে।
ভারত চীনের এই পদক্ষেপ লক্ষ্য করলেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে দিল্লির সূত্রে জানা গেছে, চীনের একতরফা এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে চলমান আলোচনায় প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন
এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ২৩তম রাউন্ড আলোচনা করেছেন। প্রায় পাঁচ বছর পর এই আলোচনা পুনরায় শুরু হলেও চীন এর আগে ভারতের দাবি পাল্টাতে একাধিক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছে। পদক্ষেপ গুলো হচ্ছে, নতুন বসতি স্থাপন, নতুন সীমান্ত আইন প্রণয়ন, বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ, অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন এলাকার নামকরণ ইত্যাদি।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, চীন আকসাই চীনে ভারতের প্রায় ৩৮,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান সাকসগাম উপত্যকার ৫,১৮০ বর্গ কিলোমিটার চীনের কাছে হস্তান্তর করেছিল। চীন অরুণাচল প্রদেশের ৯০,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দাবি করে এবং হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের প্রায় ২,০০০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলকেও নিজের বলে উল্লেখ করে।
চীনের এই নতুন পদক্ষেপ ভারত-চীন সম্পর্ক এবং সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আরও জটিলতা তৈরি করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, দিল্লি এই প্রসঙ্গে কী ধরনের কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়।