সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে জার্মানি। গতকাল (১৮ জুলাই) দেশটি একটি বিশেষ ফ্লাইটে ৮১ জন আফগান নাগরিককে কাবুলে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় ইউরোপজুড়ে অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে।
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডব্রিন্ডট বলেন, “কে ইউরোপে থাকবে, তা আমরা ঠিক করব—মানবপাচারকারীরা নয়।” তিনি জানান, অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলায় এবার নেতৃত্বে থাকবে জার্মানি। একইসঙ্গে, অভিবাসন প্রশ্নে ছয় ইউরোপীয় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সম্মিলিত বৈঠকে তিনি এই অবস্থান আরও জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন।
জার্মানির জুগস্পিটজে পর্বতে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে অংশ নেয় ফ্রান্স, পোল্যান্ড, ডেনমার্ক, চেক প্রজাতন্ত্র ও অস্ট্রিয়া। সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তা ও অভিবাসন নীতির ব্যাপারে একমত হন প্রতিনিধিরা। সিদ্ধান্ত হয়, ভবিষ্যতে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন ইউরোপের বাইরে নির্ধারিত কেন্দ্রে গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন
বিশেষ করে সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে আগত যেসব নাগরিক যুদ্ধকালীন আশ্রয় পেয়েছিলেন, তাদের পরিস্থিতি এখন দেশে ফেরার উপযোগী বলেও মত দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ডব্রিন্ডট বলেন, “জার্মানি ইতোমধ্যে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে, এখন দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের সময়।”
তবে এ কঠোর অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করেছেন জার্মান সরকারের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার নাটালি পাওলিক। তিনি বলেন, “শুধু প্রতিরোধ নয়, আমাদের দরকার মানবিক, আধুনিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অভিবাসন নীতি।” তিনি সতর্ক করেন, অভিবাসন সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধের মাধ্যমে নয়, বরং সুশৃঙ্খল ও পরিকল্পিত উপায়ে পরিচালিত হওয়া উচিত।
এদিকে ফরাসি ও পোলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউরোপীয় সমাজের ভারসাম্য বজায় রাখতে সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন রোধের ওপর গুরুত্ব দেন। অস্ট্রিয়া ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোও আফগান নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করে।