ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার চালানো ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০০ জন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত একটানা নয় ঘণ্টা ধরে কিয়েভে এই ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। হামলার ফলে শহরের ২৭টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাশিয়া কিয়েভ লক্ষ্য করে ৪৪০টি ড্রোন এবং ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। একটি ড্রোন একটি আবাসিক ভবনে আঘাত করলে তাৎক্ষণিকভাবে বহু ফ্ল্যাট ধ্বংস হয়ে যায়। সোলোমিয়ানস্কি জেলার একটি ভবনের প্রধান প্রবেশপথ ধসে পড়েছে।
আরও পড়ুন
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিটস্কো বলেন, নিহতদের মধ্যে ৬২ বছর বয়সী এক মার্কিন নাগরিকও রয়েছেন। তিনি জানান, হামলায় অন্তত ৪০টি অ্যাপার্টমেন্ট সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেকে আটকা রয়েছেন বলে উদ্ধারকারীরা মনে করছেন।
ক্লিটস্কো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘বল বিয়ারিং’ সংযুক্ত ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, এগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক মানুষ হত্যার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে “রুশ আগ্রাসনের সবচেয়ে ভয়াবহ মুহূর্তগুলোর একটি” বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা কেবল ইউক্রেনের সামরিক ও শিল্প স্থাপনাগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করেছে।