পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের আলমাদা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন মাহবুবুল আলম নামে এক বাংলাদেশি যুবক। তিনি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মানিককোনা গ্রামের বাসিন্দা এবং পর্তুগালে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় আলমাদার নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘জামিলা মিনিমার্কাদো’তে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হানা দেয়। দোকানে লুটপাটের চেষ্টা চলাকালে মাহবুবুল আলম বাধা দিলে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। মাহবুবুল আলমের মৃত্যুতে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়ে পর্তুগাল সরকারের কাছে নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
ঘটনার পরপরই পর্তুগালের বিচার বিভাগীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি গ্রহণের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
উল্লেখযোগ্য যে, পর্তুগালে সম্প্রতি প্রবাসী ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এপ্রিলে একটি বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টে ডাকাতি এবং মার্চে পোর্তোতে এক পাকিস্তানি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনা এরই মধ্যে আলোচিত। প্রবাসী ব্যবসায়ীরা পর্তুগাল সরকারের কাছে জোরালোভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছেন।