জাপানে শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ থেকে বড় পরিসরে জনশক্তি নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটি এক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ ছাড়া, জাপানি বিভিন্ন কোম্পানি আরও কয়েক হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেবে বলে জানানো হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন নোবেল বিজয়ী ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, জনগণের ক্ষমতায়ন ও তৃণমূল নেতৃত্ব এখন বিশ্বজুড়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে জাপানে ১৪টি খাতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন ভিসা নীতিমালার আওতায় নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে নার্সিং, কৃষি, নির্মাণ, রেস্টুরেন্ট, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল, মৎস্য, বিমান, জাহাজ নির্মাণ, পরিষেবা, খাদ্য ও পানীয়, বিল্ডিং ক্লিনিং, শিল্পযন্ত্র এবং ম্যাটেরিয়ালস প্রেসিং। এসব খাতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪০০ জন দক্ষ শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসবে বাংলাদেশ থেকে।
জাপানে কর্মসংস্থানে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য জাপানি ভাষায় দক্ষতা অর্জন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কর্মীদের একটি নির্দিষ্ট ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে নার্সিং খাতের জন্য বিশেষ ভাষা প্রশিক্ষণ সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে প্রার্থীরা প্রস্তুতি নিয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি নার্সদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে স্থাপন করা হচ্ছে ‘জাপান-বাংলাদেশ গ্লোবাল নার্সিং কলেজ’। এই কলেজে থাকবে একটি জাপানি ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র এবং ২০ শয্যার হাসপাতাল। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে।
এই কর্মসূচি ও সহযোগিতাগুলোর ফলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য জাপানে বৈধ ও দক্ষ শ্রমবাজারে প্রবেশের নতুন দুয়ার খুলে যাচ্ছে। এতে দেশের রেমিট্যান্স আয়ে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং অর্থনীতিও হবে আরও সমৃদ্ধ।