দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অভিনয়ে সুনাম অর্জন করেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ভারতের বলিউড থেকে শুরু করে কান চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসিত হয়েছে তার অভিনীত ছবি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নানা ঘটনা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বাঁধন জানান, বলিউডের ‘খুফিয়া’ ছবিতে অভিনয় করার সময় তিনি একজন ‘র’ এজেন্টের চরিত্রে অভিনয় করেন, যেখানে তার সহশিল্পী ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু। কিন্তু চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ারে অংশ নিতে গিয়ে বারবার ভিসা প্রত্যাখ্যাত হন তিনি। ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে একটি ছবি নিয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে।
অবশেষে উচ্চপর্যায়ের কয়েকজন পরিচিতজনের সহায়তায় এক মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পেলেও, ওই ঘটনার জেরে বলিউড ও কলকাতার একাধিক কাজের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বলে জানান বাঁধন। তিনি দাবি করেন, তারই সিনেমার এক অভিনেতা এ ভিসা জটিলতায় ভূমিকা রেখেছেন বলে তিনি শুনেছেন।
আরও পড়ুন
জুলাই মাসে গণআন্দোলন ঘিরেও তাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ‘এজেন্ট’ হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। কেউ কেউ তাকে সিআইএ ও ইউএসএইডের অর্থ গ্রহণকারী হিসেবে উল্লেখ করেন, আবার কেউ বলেন তিনি জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত, কারণ তার প্রোফাইলে এক জামায়াত নেতার ছবি শেয়ার হয়েছিল। এমনকি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’-এর সদস্য বলেও তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
সাম্প্রতিক এক ঘটনায় আবারও তাকে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট বলে আখ্যা দেওয়া হয়। এসব নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করে বাঁধন লেখেন, “আমরা কী ধরনের সমাজে বাস করি, যেখানে কেউ বিশ্বাস করতে চায় না যে কেউ দেশের জন্য কিছু করতে পারে বা দেশকে ভালোবাসতে পারে।”