সত্তর, আশি ও নব্বইয়ের দশকে কলকাতার শিল্পীরা কাজের সন্ধানে ঢাকায় আসতেন, কারণ সেখানকার ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ ছিল এবং বাংলাদেশী সিনেমার বাজার রমরমা ছিল।
তবে একবিংশ শতাব্দীতে পরিস্থিতি বদলে যায়। ঢাকার সিনেমা বাজার হারাতে শুরু করে, আর কলকাতা জমজমাট হয়ে ওঠে। বর্তমানে উভয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খুব একটা ভালো না হলেও, গত দুই বছর ধরে ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আর এই সুযোগে কলকাতার কিছু শিল্পী এখানে কাজ করতে আসছেন।
কলকাতায় কম কাজ পাওয়া শিল্পীরা এখন ঢাকায় এসে নিজেদের ক্যারিয়ার নতুন করে শুরু করার চেষ্টা করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতার ইধিকা পাল, মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান, কৌশানী মুখার্জী, সায়ন্তিকা, দর্শনা বণিকসহ আরও কয়েকজন ঢাকাই সিনেমায় কাজ করেছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন সফলও হয়েছেন।
আরও পড়ুন
অন্যদিকে, বাংলাদেশের জয়া আহসান, রাফিয়াত রশীদ মিথিলা, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিন, অপু বিশ্বাসের মতো অনেক তারকা কলকাতার সিনেমায় কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। দেশের শিল্পীরা বাইরে কাজ করছেন, এটা গর্বের বিষয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজন বাংলাদেশি শিল্পীর কলকাতায় কাজ করা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ তারা সেখানে স্থায়ী আবাস গড়তে চাইছেন। গত বছরের ৫ই আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে এই শিল্পীরা সমালোচিত হচ্ছেন। আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে তারা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজও পাচ্ছেন না।
গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তাদের অনেকেই আড়ালে চলে গেছেন। কাজের জন্য কলকাতাকে নিরাপদ মনে করছেন এবং সেখানে স্থায়ী হওয়ার চিন্তা করছেন। এদের মধ্যে আরিফিন শুভ, নুসরাত ফারিয়া ও সোহানা সাবার মতো তারকারা রয়েছেন।