মালয়েশিয়ায় বিদেশিদের অবৈধ বসতিতে অভিযান চালিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
অ্যাস্ট্রো আওয়ানি ও হারিয়ান মেট্রোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ জুলাই ভোরে সেরেম্বানের তামান বন্দর সেনাওয়াং-এ বিদেশিদের অবৈধ বসতিতে অভিযান চালিয়ে ৪ বাংলাদেশিসহ ১১ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে নেগেরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেআইএমএনএস)।
বুধবার রাজ্যের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক কেনিথ তান আই কিয়াং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তামান বন্দর সেনাওয়াং-এর জঙ্গলের কাছে ০.৩ হেক্টর (২,৭০৫ বর্গ মিটার) এলাকা জুড়ে বিদেশিদের একটি অবৈধ বসতিতে তিন ঘণ্টা ধরে চালানো হয় অভিযান। অভিযানে ২৪ থেকে ৬০ বছর বয়সী আট নারীসহ মোট ৬৯ জন ইন্দোনেশিয়ান ও বাংলাদেশি নাগরিকের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে অভিবাসন ১৯৫৯/৬৩ আইনে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। যা চিহ্নিত অপরাধের মধ্যে ধারা ৬ (১) (সি) অনুযায়ী বৈধ পাসপোর্ট এবং ভ্রমণ নথি নেই এবং ১৫(১) (সি) ধারা যা সময়ের বাইরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা।
আরও পড়ুন
ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক বলেন, তথ্য অনুসারে, তারা আট বছরেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকায় জল এবং বিদ্যুৎ চুরি করে সরবরাহ করতো। সেই সঙ্গে ঐ এলাকায় বসবাস করাসহ নিজস্ব ব্যবহারের জন্য ফসল চাষ করতো। এই অবস্থানটি ২০০৯ সালে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল কিন্তু এখন বাড়ছে।
“সামগ্রিকভাবে, তারা নির্মাণ শ্রমিক। এই এলাকায় নির্মাণ শ্রমিকরা বাস করতো এবং প্রকল্প শেষ হওয়ার পরেও, তারা এখানে বসবাস করে অন্যান্য জায়গায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো বলেও সাংবাদিকদের জানান পরিচালক।”
অভিযানের সময় বিদেশিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, যে নিয়োগকর্তারা এ বসতিতে তাদের রেখেছেন তাদের খুঁজছেন দেশটির গোয়েন্দারা।
বিদেশিদের জন্য বাসস্থানটিকে একটি ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহার করছে। এসব আটক ব্যক্তিরা প্রতি রাতে ৫০ রিঙ্গিত চার্জ দিয়ে কাজের সন্ধানে এখানে আসেন।
পরিচালক বলেন, আমরা এখনও এই জমির অবস্থা পরীক্ষা করছি এবং অনুমতি না থাকার বিষয়টি সত্য হলে চত্বরের কাঠামো ভেঙে ফেলাসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এরই মধ্যে, ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক কেনিথ তান আই কিয়াং বলেন, অভিযানের সময় বিদেশিরা পালানোর চেষ্টা করেছিল। আরো অধিকতর তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে আটকদের লেংগেং ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।