মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশিকে অপহরণের পর ২ লাখ রিঙ্গিত মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে পাঁচ সন্দেহভাজনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি পুরুষ এবং এক মিয়ানমার নারী রয়েছেন।
বাংলাদেশিকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলার তদন্তে সহায়তা করতে শনিবার (২২ জুন) দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যের শাহ আলম এলাকা থেকে পুলিশ ওই পাঁচজনকে আটক করে।
তিমুর লউত জেলা পুলিশ প্রধান সহকারী কমিশনার রাজলাম আব হামিদ বলেন, ‘শুক্রবার (২১ জুন) ৩২ বছর বয়সী ওই যুবকের বাবার কাছ থেকে অপহরণের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পেয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশে ভুক্তভোগীর স্ত্রীর কাছ থেকে একটি ভিডিও রেকর্ডিং পাওয়া গেছে, যেখানে তার একজন পরিচিত ব্যক্তি অপহরণ করেছে এবং মুক্তিপণ হিসাবে ২ লাখ রিঙ্গিত চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
রেকডিংয়ে বলা হয়, মুক্তিপণ না দিলে ওই যুবককে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এই ভয়ে তার পরিবার অভিযুক্ত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে কিছু রিঙ্গিত জমাও করেছেন।’
পুলিশ জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পেনাং কন্টিনজেন্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, উত্তর-পূর্ব জেলা পুলিশ সদর দপ্তর এবং বুকিত আমানের সহায়তায় পুলিশের একটি দল কুয়ালালামপুরে অভিযান চালায়। এরপর কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ে দুজনকে আটক করা হয়।
তাদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ শাহ আলম এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় এবং ওই যুবককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। দ্বিতীয় অভিযানে দুই পুরুষ ও এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় অধিকতর তদন্তের জন্য ওই পাঁচজনকে চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় অন্য সন্দেহভাজনরা জড়িত নাকি বিদেশিদের অপহরণ করা সিন্ডিকেটের একটি নেটওয়ার্ক জড়িত তাও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানায় মালয়েশিয়ার পুলিশ।