মাদ্রিদ থেকে কারাকাসগামী প্লাস আলট্রা ৭০১ ফ্লাইটে এক অপ্রত্যাশিত ও শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনা ঘটেছে। গত ২৮শে ফেব্রুয়ারী আটলান্টিক মহাসাগরের উপর ৩৫,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়ন্ত অবস্থায়, এক যাত্রী বিমানের জরুরি দরজা খোলার চেষ্টা করলে আকাশপথে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় উড়োজাহাজে থাকা যাত্রীদের মধ্যে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাটি ঘটে যখন বিমানটি মাদ্রিদের বারাজাস বিমানবন্দর থেকে ভেনেজুয়েলার কারাকাসের দিকে যাত্রা করছিল। অভিযুক্ত যাত্রীটি আকস্মিকভাবে নিজের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান এবং বিমানের জরুরি বহির্গমন পথের হাতল ধরে সজোরে টানাটানি শুরু করেন। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় বিমানের কেবিনে এক বিশৃঙ্খলাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে এবং অনেকে চিৎকার করতে শুরু করেন। কিছু যাত্রী এবং ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট দ্রুততার সাথে এগিয়ে এসে ঐ ব্যক্তিকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।
A chaotic situation on board a Plus Ultra flight 701 took place when a passenger tried to open the plane’s door mid-flight between Madrid, Spain and Maiquetía, Venezuela on March 1, 2025.
The rapid intervention of the crew, supported by other passengers, managed to stop the… pic.twitter.com/UyZ0rjjCLt
আরও পড়ুন
— FL360aero (@fl360aero) March 3, 2025
বিমানের ভেতর থেকে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উড়োজাহাজের কর্মীরা ঐ ব্যক্তিকে দরজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য রীতিমতো ধস্তাধস্তি করছেন। শেষ পর্যন্ত, বিমানকর্মীরা তাকে কাবু করে, তার হাত পিছমোড়া করে বেঁধে বিমানের মেঝেতে শুইয়ে রাখেন এবং গন্তব্য পর্যন্ত তাকে নজরে রাখা হয়।
প্লাস আলট্রা এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “বিমানে একজন যাত্রী অপ্রত্যাশিত আচরণ করছিলেন এবং চিৎকার করে অন্যান্য যাত্রীদের বিরক্ত করছিলেন। বিমান ক্রুরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করে তাকে শান্ত করে অন্য একটি আসনে সরিয়ে নিয়ে যায়। দুর্ভাগ্যবশত, কিছু সময় পরেই তিনি বিমানের জরুরি দরজা খোলার চেষ্টা করেন। আমাদের কেবিন ক্রুরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিমান নিরাপদে গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত তাকে তত্ত্বাবধানে রাখে।”
এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায়, একজন কর্তব্যরত কেবিন ক্রু আহত হয়েছেন। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, ঐ ঘটনায় একজন কেবিন ক্রু-এর ফিবুলা হাড়ে আংশিক ফ্র্যাকচার হয়েছে এবং তাকে কয়েক সপ্তাহের জন্য কর্মক্ষমতার বাইরে থাকতে হবে। এই ঘটনার পরে, বিমান পরিষেবা এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।