বাংলাদেশ বিমান বাহিনী চীনের কাছ থেকে ১৬টি জে-১০সি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান সাম্প্রতিক চীন সফরের পর এ তথ্য আলোচনায় এসেছে।
১৫ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্সের (পিএলএএএফ) আমন্ত্রণে চীন সফর করেন এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। সফরের সময় তিনি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান ও আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও কেউ কেউ দাবি করেছেন, তিনি সরাসরি জে-১০সি যুদ্ধবিমানের কথা উল্লেখ করেছেন।
এর আগে আগস্ট মাসেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তার আধুনিকীকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জে-১০সি কেনার কথা ভাবছে।
⚡️Air Chief Hasan Mahmud Khan: “We’re devotedly trying to acquire multirole combat aircrafts and attack helicopters.”
Bangladesh Air Force could purchase 16x J-10C combat aircraft in the first phase as a stop gap and replacement of ageing F-7MB squadron. pic.twitter.com/M9pPLe0D1Qআরও পড়ুন
— Defense Technology of Bangladesh-DTB (@DefenseDtb) December 13, 2024
কেন জে-১০সি?
জে-১০সি যুদ্ধবিমান অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত এভায়োনিক্স, এএএসএ রাডার এবং বিভিন্ন উন্নত অস্ত্র ব্যবহারের সক্ষমতার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। চীনের দ্রুত উৎপাদন ও সরবরাহ সক্ষমতা এই বিমানকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। যেমন, পাকিস্তান চুক্তি সই করার কয়েক মাসের মধ্যেই তাদের প্রথম জে-১০সি চালান পেয়ে যায়। এটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জন্য উল্লেখযোগ্য কার্যকারিতা এনেছে বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশ ও চীনের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব এবং অতীতে চীনা যুদ্ধবিমান ব্যবহারের অভিজ্ঞতা জে-১০সি নির্বাচনকে আরও যৌক্তিক করে তুলেছে। তাছাড়া, পাকিস্তানের এই বিমান ব্যবহারের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য একটি কার্যকর দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশের জন্য পশ্চিমা যুদ্ধবিমান পাওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে কঠিন হয়ে পড়েছে। রাশিয়া থেকে সরবরাহেও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিলম্ব হচ্ছে।
এর বিপরীতে, চীনের দ্রুত সরবরাহের সক্ষমতা জে-১০সি যুদ্ধবিমানকে বাংলাদেশের জন্য একটি বাস্তবসম্মত এবং লজিস্টিকভাবে সহজ বিকল্প করে তুলেছে।
প্রাথমিকভাবে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পুরনো এফ-৭এমবি স্কোয়াড্রনের জায়গায় ১৬টি জে-১০সি যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।
জে-১০সি এর সামরিক কার্যকারিতা, চীনের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা সম্পর্ক এবং দ্রুত সরবরাহের সম্ভাবনা এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের পথে আরও দৃঢ় করছে।