বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “যদি ভারতের কোনো অশুভ ইচ্ছা থাকে, তবে আমরাও আমাদের ইতিহাসের নবাবদের অধীন এলাকা—বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা দাবি করব।”
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, “হিন্দু-মুসলমান এই দেশের সন্তান। আমাদের জন্ম এই মাটিতে। তবে আমাদের স্বাধীনতা কেন অন্যের গোলামির কাছে বিক্রি হবে?” তিনি আরও বলেন, “আমরা সিরাজ উদ দৌলা, মোহনলাল, মীর মদনের উত্তরসূরি। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াব।”
রুহুল কবির রিজভী বিজেপি সরকারকে হিন্দুত্ববাদকে পুঁজি করে ঘৃণা ও বিভাজন সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে বলে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে, যদি তারা এই ঘৃণার রাজনীতি না চালায়।”
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, “সিরাজ উদ দৌলা ও মোহনলাল যেমন দেশের মুক্তি ও রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে আমরা হিন্দু-মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করব। দিল্লির দাসত্বকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেব।”
কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা থাকার কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “যে মমতাকে আমরা অসাম্প্রদায়িক ও সেক্যুলার রাজনীতিক হিসেবে জানতাম, তিনিও রাজনীতির জন্য কট্টর হিন্দুত্ববাদের ছায়ায় দাঁড়িয়ে গেছেন। এটা গভীরভাবে দুঃখজনক।”
ভারতের সম্প্রসারণবাদী নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমরা প্রতিটি দেশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করি। তবে ভারত যদি মনে করে, তারা বাংলাদেশ, নেপাল বা ভুটানের মতো দেশগুলোকে কবজা করবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।”
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অর্পুনা রায় দাস। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দীন মামুন, এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাহিদুল কবিরসহ অনেকে।
এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় আগ্রাসনের বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের বার্তা দেন।