ভিসার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ওমান ফেরত প্রবাসীকে ছুরি মেরে হত্যা

ভিসার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ওমান ফেরত প্রবাসীকে ছুরি মেরে হত্যা

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয় বাবা-ছেলেকে।

মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে কাজ না পেয়ে ফিরে এসে দীর্ঘদিন ধরে ভিসার টাকা দাবি করা চট্টগ্রামের এক ব্যক্তিকে ছুরি মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের এ ঘটনা ঘটে বলে বাঁশখালী থানার এসআই হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।

নিহত মনজুর আলম ওরফে বাবুল (৪৩) ছনুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার ছেলে মো. আরমানকেও (১৪) ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার পর মো. সোহেল (২৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি ছনুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে।

নিহতের পরিবারের বরাতে এসআই হাফিজুর গনমাধ্যমেকে বলেন, ২০২২ সালে মনজুর আলমকে ওমান নিয়ে গিয়েছিলেন সোহেলের এক আত্মীয়। কিন্তু পছন্দমত কাজ না পেয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

ভিসার টাকা ফেরত চাওয়ায় দুই পক্ষের বিরোধের জেরে সকালে মনজুর আলম ও তার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে সোহেল। এতে মনজুর আলমের মৃত্যু হয়।

নিহতের ছোট ভাই মনসুর আলমের অভিযোগ, টাকা দেওয়ার কথা বলে সকালে মনজুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সোহেলের পরিবারের সদস্যরা। পরে টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে মনজুর ও তার ছেলে আরমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

মনসুর বলেন, সোহেলের ভগ্নিপতির মাধ্যমে ২০২২ সালে মনজুর ওমান গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে যে কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে কাজ না দিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। পরে কিছু বাংলাদেশি প্রবাসীর সহায়তায় মাস তিনেক পর মনজুর দেশে ফিরে আসেন।

“এরপর মনজুর ভিসার জন্য দেওয়া ৩ লাখ টাকা ফেরত চেয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেওয়া হয়েছিল এবং আদালতেও মামলা করা হয়েছিল। চেয়ারম্যান দুই পক্ষের কথা শুনে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, যেটা সোহেলের বাবার পরিশোধ করার কথা ছিল।

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে মনজুরকে ফোন করে টাকা পরিশোধের কথা বলে সোহেলদের বাসায় যেতে বলা হয়েছিল । যার কারণে মনজুর তার ছোট ছেলেকে নিয়ে টাকা আনতে গিয়েছিলেন।

আরও দেখুনঃ

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Probashir city web post