বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে এবং এই সংঘর্ষে গত ১৮ জুলাই খালিদ সাইফুল্লাহ নামে এক নিরীহ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা গতকাল শনিবার যখন থানায় মামলা করতে যান, তখন পুলিশ মামলা রুজু করতে গড়িমসি শুরু করে।
স্থানীয় লোকজনও এই ঘটনায় উৎসুক হয়ে থানায় ভিড় জমান এবং পুলিশের উপর মামলা রুজু করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। পরিস্থিতি শান্ত করতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি জরুরি হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে লালবাগ থানার ওসি খন্দকার হেলাল উদ্দিন বলেন, নিহতের পরিবার রাতেই থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলে থানা পুলিশ তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে সকালে আসার জন্য বলে।
আরও পড়ুন
যেহেতু ঘটনাটি হত্যাকাণ্ডের, তাই মামলা রুজু করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এ কারণে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন। তবে, নিহতের পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় জনগণের চাপে তাকে এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
নিহত খালিদ সাইফুল্লাহ একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাসা লালবাগ থানার রসুলবাগে। গত ১৮ জুলাই আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করে পরিবার।
থানার এক কর্মকর্তা জানান, লোকজন জড়ো হওয়ার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে।
এদিকে, লালবাগে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি পুলিশের দায়িত্বহীনতা এবং বিচার বিভাগের উপর জনগণের আস্থা হারানোর একটি উদাহরণ। এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করতে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।