শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের তোপে দেশছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে দাবি করেন তার ছেলে ও সাবেক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ শনিবার (১০ আগস্ট) ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেন জয়।
এসময় তিনি বলেন, আমার মা শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি। সুতরাং দেশের আইন অনুযায়ী তিনিই বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। আমার মা দেশত্যাগের সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্যাক করারও সময় পাননি।
জয় দাবি করেন, ‘ শেখ হাসিনা একটি বিবৃতি দেয়ার সাথে পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে, তখন তার হাতে সময় ছিল না। আমার মা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্যাক করারও সময় পাননি। সংবিধান মতে, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’
জয় আরও বলেন, যদিও প্রেসিডেন্ট সামরিক প্রধান ও বিরোধী দলের রাজনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন, তবে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ না করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনকে ‘আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে’।
আরও পড়ুন
ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জয় দাবি করেন, তার মা শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর কোনো ধরনের নির্দেশনা দেননি।
কে বা কারা গুলি চালিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান জয়। তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ সহিংসতা বন্ধ করার চেষ্টা করেছে, তবে কিছু পুলিশ অফিসার অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে।’
এ সময় গণতন্ত্র রক্ষা এবং দেশকে স্থিতিশীল করতে তিন মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী কালীন সরকার আওতায় নির্বাচন দেয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেও বলে জানান জয়।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে জয় জানান, ‘আমি খালেদা জিয়ার বিবৃতি শুনে খুব খুশি হয়েছি, আসুন অতীত ভুলে আগামীর পথে হাঁটি। আমরা যেন প্রতিহিংসার রাজনীতি না করি। আমাদের এখন একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ আমি বিশ্বাস করি যে রাজনীতিতে আপস এবং আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি জানান, ‘ আমার মা কোনো অন্যায়ও করেননি। শুধু তার সরকারের লোকেরা বেআইনি কাজ করেছে, তার মানে এই নয় যে আমার মা এর জন্য দায়ী। গ্রেফতারের হুমকিতে আমার মা আগে কখনো ভয় পাননি।’ এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে যেকোনো বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বলেও জানান জয়।