গত জুলাই মাসে দেশে ছড়িয়ে পড়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুধু দেশের ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এর প্রভাব পৌঁছায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে নানাভাবে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন। কেউ কেউ এ সংহতির কারণে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগও করেছেন বলে জানা গেছে।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন। তারা মানববন্ধন, অর্থ সংগ্রহ এবং আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। লন্ডনের হাইড পার্কে আয়োজিত একটি মানববন্ধনে ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রবাসীদের সংহতি’ শীর্ষক ব্যানারে প্রায় ৫০০ প্রবাসী অংশ নেন। কর্মসূচি শেষে জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে কিছু প্রবাসী রেমিট্যান্স পাঠানো সাময়িকভাবে স্থগিত করার ডাক দেন, যা আন্দোলনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করে। তবে, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে স্থানীয় আইনের ব্যত্যয় ঘটানোয় কয়েকজন প্রবাসী গ্রেপ্তার হন। পরে ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে তারা মুক্তি পান।
আরও পড়ুন
এই সংকটকালীন সময়ে প্রবাসীরা শুধু দর্শক হয়ে থাকেননি, বরং তারা হয়ে উঠেছিলেন গণতন্ত্রের দাবিতে একটি দায়িত্বশীল ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। দেশ থেকে দূরে থাকলেও স্বদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় প্রবাসীদের ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।