মালয়েশিয়ায় কর্মরত রংপুরের প্রবাসী শ্রমিক আমিরুজ্জামান (৫০)–এর মরদেহ মৃত্যুর দীর্ঘ আট মাস পর নিজ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পাচগাঁছি ইউনিয়নের পাইকান গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর পরিবার এবং এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আমিরুজ্জামান ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে বৈধ কাগজপত্র ও বিএমইটি স্মার্টকার্ড নিয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তার। তবে এরপর দীর্ঘ সময়—২০২৫ সাল পর্যন্ত—তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ ছিল না।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর মালয়েশিয়ার জহুরবাহর শহরের পালো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর তিন দিন পর, ১৭ নভেম্বর কুয়ালালামপুর পুলিশ বাংলাদেশ দূতাবাসকে বিষয়টি জানায়। প্রথমে পরিবারের কাছে খবর আসে যে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন, পরে নিশ্চিত করা হয় যে তিনি ১৪ নভেম্বরই মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃত্যুর প্রায় আট মাস পর, ২৫ জুলাই রাতে আমিরুজ্জামানের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। পরদিন শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দীর্ঘদিন পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন থাকা এই প্রবাসীর আকস্মিক মৃত্যু এবং মরদেহ ফেরত পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা পরিবারটির জন্য চরম বেদনার এক অধ্যায় হয়ে দাঁড়ায়। প্রিয়জনের এভাবে ফিরে আসায় এলাকাবাসীর মনেও গভীর শোক ও বিষাদের ছায়া নেমে আসে।