বাংলাদেশিদের জন্য বিভিন্ন দেশের ভিসা পেতে বাড়তি জটিলতা ও নিষেধাজ্ঞার মূল কারণ হিসেবে আবেদনকারীদের মিথ্যা তথ্য প্রদানকে দায়ী করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এ সমস্যা সমাধানে তিনি দেশের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক ও নৈতিক কাঠামো পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের ঘর গোছানো জরুরি। মিথ্যা তথ্য বা ভুয়া পাসপোর্ট দিয়ে কেউ ভিসা চাইলে, তা এখন সহজেই ধরা পড়ে। আগে যা কিছুটা সহজ ছিল, এখন আর তা নয়।”
এক সাংবাদিক ভারতের ভিসা বন্ধ এবং অন্যান্য দেশেও একই রকম জটিলতা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করণীয় জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসলে সেলস এজেন্সি—যা আমাদের সমাজ তৈরি করবে, আমরা সেটাই উপস্থাপন করতে পারি। যারা বিদেশে যেতে চান, তাদের সত্যনিষ্ঠ হতে হবে।”
আরও পড়ুন
তিনি আরও জানান, অতীতে একজন ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্ট ইস্যুর ঘটনাও ঘটেছে, যা এখন কঠোর নজরদারির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এ ধরনের জালিয়াতি আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “মিথ্যা তথ্য এখন বড় বাধা। বিদেশি দূতাবাসগুলো এসব জাল তথ্য যাচাই করে ফেলছে। এজন্যই তারা ভিসা দিতে অনাগ্রহী হয়ে উঠছে। সুতরাং এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া ও নীতিনৈতিকতা মজবুত করে ভবিষ্যতে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।