শরীয়তপুরের জাজিরায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রবাসীকে আনতে যাওয়া ফিরোজা বেগম (২৫) ও তার শ্বশুর মাসুদ ফকির (৬০)। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের নাওডোবা এলাকায় একটি মাইক্রোবাস, বাস ও কাভার্ডভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে শিশু ও নারীসহ আরও অন্তত আটজন আহত হন। আহতদের ঢাকা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে। জানা যায়, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বিদেশ থেকে দেশে ফিরছিলেন ছারু ফকির নামের এক প্রবাসী। ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল তার। তাকে এগিয়ে আনতে পরিবারের ১০ সদস্য রাত ২টার দিকে মাইক্রোবাসে করে রওনা দেন।
তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রবাসী বাবা বিমানবন্দরে পৌঁছালেও মেয়েসহ স্বজনরা আর সেখানে পৌঁছাতে পারেননি। পথে নাওডোবা এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি একটি যাত্রীবাহী বাস ও কাভার্ডভ্যানের সাথে সংঘর্ষে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ফিরোজা ও তার শ্বশুর মাসুদ।
আরও পড়ুন
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের একজন মাইক্রোবাস চালক সবুজ শেখ জানান, হঠাৎ পেছন থেকে একটি বাস এবং বিপরীত দিক থেকে একটি কাভার্ডভ্যান এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, ফলে তিনটি গাড়ি একসাথে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়ে। আহতদের মধ্যে ফিরোজার শিশু সন্তানসহ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জাজিরা হাইওয়ে থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম চালায় এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।